ঢাকা: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানালেও গাজায় কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর অস্বীকার করেছে ইসরায়েল ও স্থানীয় সামরিক সংগঠন হামাস।
দু’পক্ষের মধ্যে সামরিক চুক্তির ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর উড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিগডর লিভারম্যান বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিবেদন অসত্য’।
এর আগে, অবশ্য হামাস জানিয়ে আসছিল মিশরে গাজা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে।
বিকেলে দু’পক্ষের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়।
বার্তা সংস্থা বিবিসি জানায়, ইসরায়েলি মুখপাত্রের মতে, স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা।
গত ৮ জুলাই দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী ছিল। হামাসের রকেট হামলায় নিহত হয় এক ইসরায়েলিও।
হামাসের রকেট হামলার জবাবেই ইসরায়েল নয় দিন আগে সামরিক অভিযান শুরু করে বলে দাবি করা হয়।
অন্যদিকে জাতিসংঘ জানায়, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক লোক।
ইসরায়েলের দাবি, বেসামরিক লোকজনের ছদ্মবেশে সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে হামাস। আর তারা হামাসের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করেই আকাশপথে হামলা চালিয়েছে।
নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবর দেওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ইসরায়েলি হামলার নবম দিনের মাথায় পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল, একইসময়ে কোনো ধরনের রকেট হামলা না করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে হামাসও।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তারা বোমা হামলা বন্ধ রাখবে। গাজার অধিবাসীরা যেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে সরে যেতে পারেন- সেজন্য এ পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি দেওয়া হয়েছে।
** যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল-হামাস
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৪