ঢাকা: ইউক্রেন-রাশিয়ার রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার শুরু থেকেই ওই অঞ্চলের আকাশপথ বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।
ওই আকাশসীমা নিয়ে উভয়পক্ষই পাল্টাপাল্টি নিয়ন্ত্রণের দাবি করায় গত এপ্রিলেই এ অঞ্চলের রুট ব্যবহারে সতর্কতা জারি করে জাতিসংঘের বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইসিএও)।
শঙ্কা থেকেই ওই অঞ্চলের রুট ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজগুলোর প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষও (এফএএ)। অবশ্য এয়ার-ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত উদ্বেগও কাজ করে এফএএ’র সিদ্ধান্তের গ্রহণের ক্ষেত্রে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে এই এলাকায়ই মালয়েশিয়ান উড়োজাহাজ এমএইচ১৭ ‘ভূপাতিত’ হয়। এতে থাকা ২৮০ যাত্রী ও ১৫ জন ক্রুসহ প্রায় ৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, আলোচিত ক্রিমিয়া অঞ্চলের কর্তৃত্ব নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টির পর গত ২৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজগুলোর ওপর ওই অঞ্চলের আকাশপথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এফএএ।
গত মার্চের শেষ দিকে রাশিয়ার সরকার ঘোষণা করে, তারা কৃষ্ণ সাগর ও আজব সাগরের ওপরের আন্তর্জাতিক আকাশসীমাসহ ক্রিমিয়ার আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রুশ সরকারের এ দাবির পর ক্রিমিয়া উপদ্বীপ অঞ্চলের ২৯,০০০ ফুট নিচে দিয়ে কোনো উড়োজাহাজ চলাচলে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউক্রেন।
এই বিতর্কের জের ধরে গত ৩ এপ্রিল ওই আকাশসীমা দিয়ে উড়োজাহাজগুলোর চলাচলে সতর্কতা জারি করে আইসিএও।
যুক্তরাষ্ট্রের এফএএ-ও জানায়, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কায় যে কোনো ধরনের বিপদ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
** তদন্তের আহবান নাজিব তুন রাজ্জাকের
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৪