ঢাকা: ভূপাতিত মালয়েশীয় উড়োজাহাজের ঘাতকের নাম ‘বিইউকে’। যাত্রী, ক্রুসহ তিন শতাধিক প্রাণনাশকারী এ ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যাধুনিক।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ফ্লাইট ‘এমএইচ১৭’ উড়োজাহাজটি ‘ভূপাতিত’ হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে জানায় রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স। এসময় ঘটনাস্থলের কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিও মারা যান।
ইন্টারফ্যাক্স জানায়, মাটি থেকে ছোঁড়া উড়োজাহাজ বিধ্বংসী ‘বিইউকে’ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয় উড়োজাহাজটি।
রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক এ ক্ষেপণাস্ত্র ‘৯কে৩৭ বিইউকে’ নামে পরিচিত। মধ্যবর্তী দূরত্বের হামলার জন্য ব্যবহার করা হয় এ ক্ষেপণাস্ত্র।
আকাশে ৭২ হাজার ফুট দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্র। আর মালয়েশীয় উড়োজাহাজটি যাচ্ছিল ৩৩ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে।
এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রে যে রাডার ব্যবহার করা হয় তার মাধ্যমে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তু নির্দেশ করে বিধ্বস্ত করা যায়।
প্রতিটি ‘বিইউকে’তে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র থাকে। যেন এটি যেকোনো দিক থেকে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারে।
প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুকে আঘাতের সময় ৭০ কেজি বিস্ফোরক বহন করে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় দেশই এ ধরনের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টার্ডাম থেকে কুয়ালালামপুরগামী মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২৯৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। রুশ সীমান্ত থেকে স্থানটির দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। আমস্টার্ডাম থেকে আন্তর্জাতিক সময় ১২টা ১৪ মিনিটে উড়াল দেয় উড়োজাহাজটি।
মালয়েশিয়া সময় শুক্রবার ভোর ৬টা ৯ মিনিটে এটি কুয়ালালামপুরে পৌঁছার কথা ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৪