ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভূপাতিত যতো যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৪
ভূপাতিত যতো যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী চারদিকে এখন একটাই আলোচনা, সেটা হচ্ছে মালয়েশীয় উড়োজাহাজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভূপাতিত করার ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত শহর দোনেৎস্কে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।

ক্রু’সহ ২৯৮ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন। এর আগে গত ৮ মার্চ মালয়েশীয় উড়োজাহাজ এমএইচ৩৭০ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয়। সে রহস্য আজও জানা যায়নি।

তবে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার ইতিহাস এবারেরই প্রথম নয়। এর আগেও ঘটেছে। বিবিসি অনলাইন অবলম্বনে সেসব ঘটনা তুলে ধরা হলো:

সার্বিয়ান এয়ারলাইনস ফ্লাইট ১৮১২, অক্টোবর ২০০১

 আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে কথা। ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে রাশিয়ার নোভোসিবিস্ক শহরে ৭৮ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল সার্বিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৮১২। যাত্রাপথে ৪ অক্টোবর ২০০১ সালে কৃষ্ণ সাগরে গুলি করে ভূপাতিত করা হয় উড়োজাহাজটি।   নিহত হন সব যাত্রী।

প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। প্রশিক্ষণকালে সামরিক বাহিনী ভূল করে উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করে বলে ইউক্রেন জানায়।

ট্রানজেয়ার জর্জিয়া প্লেন, সেপ্টেম্বর ১৯৯৩

বেসামরিক উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে এমন ধারাবাহিক হামলা খুব কমই হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ সাল থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত । জর্জিয়ান বিদ্রোহীদের ধারাবাহিক ওই হামলায় প্রাণ হারান সর্বমোট ১৩৬ জন।

ইরান এয়ার ফ্লাইট৬৫৫, জুলাই ১৯৮৮

পারস্য উপসাগরে ১৯৮৮ সালে ৩ জুলাই উড়োজাহাজটি গুলি করে ভূপাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র। এয়ার বাস এ৩০০ উড়োজাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাচ্ছিল। ক্রু’সহ ২৯০ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়, তাদের নৌবাহিনী ইরানের নৌবাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় কালে ভূলক্রমে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

কোরিয়ান এয়ারলাইনস ফ্লাইট০০৭, সেপ্টেম্বর ১৯৮৩

নিউইয়র্ক থেকে সিউলে যাওয়ার পথে ১৯৮৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর উড়োজাহাজটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। উড়োজাহাজের ২৬৯ যাত্রীর সবাই নিহত হন। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ল্যারি ম্যাকডোনাল্ডও ছিলেন। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল মোনেরন দ্বীপে তৎকালীন সোভিয়েট ফাইটার জেট উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করে।

লিবিয়ান আরব এয়ারলাইনস ফ্লাইট১১৪, ফেব্রুয়ারি ১৯৭১

লিবিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭২৭-২০০ উড়োজাহাজটি মিসরের সিনাই মরুভূমিতে ভূপাতিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি ফাইটার এটি ভূপাতিত করে। বলা হয়ে থাকে, খারাপ আবহাওয়া ও কারিগরি গোলযোগের কারণে পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মিসরের উত্তরাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে।

আকাশ থেকে ভূমিতে ফায়ারিং সিগন্যাল দেওয়ার পরও দুটি ইসরায়েলি ফাইটার জেট উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করে। ১১৩ জনের মধ্যে মাত্র পাঁচজন প্রাণে বেঁচে যান।

ক্যাথি প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ সি-৫৪, জুলাই ১৯৫৪

ব্যাংকক থেকে হংকং যাওয়ার পথে ১৯৫৪ সালের ২৩ জুলাই ক্যাথি প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ সি-৫৪ উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করা হয়। হাইন্যান্ড উপকূলে মেইনল্যান্ড চাইনিজ আর্মি এ কাণ্ড ঘটান। নিহত হয় ১০ জন।

চীন জানায়, ভ‍ুলক্রমে তারা উড়োজাহাজটি আক্রমণ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।