ঢাকা: কেবল মোবাইল-ফোন আর ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই গোপন নজরদারি সীমাবদ্ধ থাকতো না মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের! গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে চাঁদে স্থাপনা বসিয়েও বিশ্ববাসীর ওপর নজরদারি চালাতো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রটি।
২০ জুলাই রোববার ছিল মানুষের প্রথম চন্দ্রজয় দিবস।
চন্দ্রজয়ের ৪৫তম বার্ষির্কীতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজকীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে রোববার সংবাদ মাধ্যমগুলো এমন চমকপ্রদ খবরই জানালো।
‘প্রজেক্ট হরিজোন’ কোডনামে প্রকাশিত সেনাবাহিনীর ওই শতাধিক পাতার অবিন্যস্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে আগে চন্দ্রজয় করার প্রতিযোগিতার সময় চাঁদে স্থাপনা বসিয়ে বিশ্বের ওপর নজরদারি চালানোর পরিকল্পনাও করেছিল পেন্টাগন।
প্রতিবদনে আরও বলা হয়, চাঁদে সামরিক স্থাপনা বসিয়ে সেখান থেকে গ্রহ পৃষ্ঠে এমনকি পুরো মহাকাশেই অস্ত্র (ক্ষেপণাস্ত্র) নিক্ষেপ করে পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা ছিল।
আরও বিস্ময়কর খবর হলো, পেন্টাগন সেসময় চাঁদের বুকে কিংবা এর আশপাশে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত করে এর প্রভাব অনুমানও করতে চেয়েছিল।
গত ১৭ জুলাই মালয়েশীয় উড়োজাহাজ এমএইচ১৭ ভূপাতিত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ওয়্যার্ড জানায়, যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করতে গ্রহের কোথাও থেকে অস্ত্র অথবা মহাকাশযান নিক্ষেপ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে বেশ ক’টি স্যাটেলাইট পাঠায় মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা সহায়তা প্রকল্প (ইউএসএডিএসপি) বিভাগ। অস্ত্র নিক্ষেপের স্থল চিহ্নিত করতে ওই স্যাটেলাইটে আইআর (ইনফ্রেরেড রশ্মি) ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়।
ওয়্যার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্র জানতে পেরেছে ভূমি-থেকে-আকাশে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র এমএইচ১৭ উড়োজাহাজকে ভূপাতিত করেছে।
ঠিক একইভাবে ইরাক আগ্রাসনের সময় কোন অঞ্চল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র (স্কুড মিসাইল) নিক্ষেপ করা হচ্ছে সেটা চিহ্নিত করতো মার্কিন বিমান বাহিনী এবং তৎপরবর্তী কড়া ব্যবস্থা নিতো সাদ্দামের সামরিক স্থাপনা ধ্বংসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৪