ঢাকা: সেলফির জ্বরে পুড়ছেন হাজীরাও। হজের প্রায় প্রত্যেকটি পর্যায়ে পূণ্যার্থীরা সেলফিতো তুলছেনই, পবিত্র ক্বাবা শরিফ তাওয়াফ ও কালো পাথরে চুমু খাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়েও তারা ব্যতিব্যস্ত থাকছেন সেলফি তুলতে।
হজযাত্রীদের এ ধরনের আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ইসলামী চিন্তাবিদরা।
এ ব্যাপারে আরব নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হজের মতো পূণ্যযাত্রায়ও সেলফি তোলার হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কিন্তু আত্মত্যাগ, অহমিকা বর্জন, বিনয় ও নম্রতা শিক্ষা দেওয়ার এ হজে এ ধরনের কার্যক্রম কতোটুকু গ্রহণযোগ্য তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
‘হজে সেলফিকে না বলুন’ শীর্ষক এক কলামে পূণ্যার্থীদের এ ধরনের ছবি তোলার কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়ে বেশ কিছু সৌদি ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, ‘এ আচরণ পর্যটকদের মতো, পূণ্যার্থীদের নয়’।
জেদ্দার খ্যাতনামা ইসলামী চিন্তাবিদ শাইখ আসিম আল-হাকেম বলেন, প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া ছবি তোলা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু যখন হজের প্রসঙ্গ আসে তখন সেখানে কোনো ধরনের ছবি তোলার প্রসঙ্গই আসতে পারে না।
তিনি বলেন, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) যখন হজ করতে আসেন, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, গর্ব-অহংকার-লোক প্রদর্শন বর্জন করে আমি তোমার ডাকে হাজির। ’ অতএব, এ ধরনের সেলফি ও ভিডিও ধারণ নবীর প্রদর্শিত পন্থার প্রতি চ্যালেঞ্জ।
আরেক ইসলামী চিন্তাবিদ শাইখ আবদুল রাজ্জাক আল-বদর বলেন, নিজের হজের সময় মিকাতে পৌঁছে নবী (স.) হাজীদের লোক প্রদর্শনমূলক কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
এ ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, এখন মিকাতে পৌঁছেই হাজীরা প্রত্যেকটি পর্যায়ে ছবি তুলছেন। তাওয়াফের সময়, আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের সময় এবং পাথর নিক্ষেপের সময়ও তারা ছবি তুলছেন। এটা ইসলাম সমর্থন করে না। এ ধরনের আচরণ নিন্দনীয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৪