ঢাকা: হংকংয়ে ‘গণতন্ত্রকামী’ বিক্ষোভ থেকে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার গোপন পরিকল্পনার সন্দেহভাজন ‘তিন উগ্রপন্থি’ও রয়েছে।
শনিবার স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানায়।
এই গ্রেফতারের সূত্র ধরে সকালে হংকংয়ের রাস্তার পরিবেশ অনেকটা শান্ত থাকতে দেখা গেছে।
এর আগে খবরে বলা হয়, শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তির জের ধরে সরকার ও আন্দোলনরতদের সংলাপের সম্ভাবনা ভেস্তে যায়। এখন পর্যন্ত আর কোনো সংলাপের ইঙ্গিত পাওয় যাচ্ছে না।
তবে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের কূটচাল দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ ও হংকং কর্তৃপক্ষ।
বেইজিং সরকারের অনুমোদিত প্রার্থীদের মধ্য থেকেই হংকংয়ের পরবর্তী নেতা নির্বাচনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে গণতন্ত্রকামীরা। গণতন্ত্রপন্থিরা চায় অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমেই অঞ্চলটির পরবর্তী নেতা নির্বাচিত হোক। এছাড়া, নির্দিষ্ট করে ২০১৭ সালের পরবর্তী নির্বাচনে যে কোনো নাগরিককে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি করছে বিক্ষোভকারীরা।
সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ গত ২৬ তারিখ থেকে গণবিক্ষোভে রূপ নেয়। মূল ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলো অবরোধ করে বিক্ষোভকারীদের এ রাজপথ অবস্থান কর্মসূচিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে হংকংয়ের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড।
পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এ আন্দোলনকে আমব্রেলা রেভ্যুলুশন বা ছাতা বিপ্লব বলে অভিহিত করছে।
১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারপর থেকে ‘এক দেশে দুই নীতি’ পদ্ধতির আলোকে হংকংয়ের প্রশাসন পরিচালিত হচ্ছে। অধীনে নেওয়ার পর থেকে এই প্রথম হংকংকে নিয়ে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হলো বেইজিংকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৪