ঢাকা: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছে ব্রাজিলিয়ানরা। রোববার ১৪ কোটি মানুষ ভোট দিয়ে তাদের পরবর্তী রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচনে মোট ১২ প্রার্থীর মধ্যে মূলত তিনজনের মধ্যে লড়াইটা জমে উঠবে। এই তিন প্রার্থী হচ্ছে সদ্য সাবেক ব্রাজিলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ, আসিও নেভাস ও ম্যারিনা সিলভা।
তবে দিলমা রৌসেফ বিভিন্ন জরিপে এগিয়ে আছেন। অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে সিলভার চেয়ে সামান্য ব্যবধান এগিয়ে আছেন নেভাস।
ভোটের মাধ্যমে ফেডারেল পার্লামেন্ট ও রাজ্যেগুলোর গভর্নরও নির্বাচিত হবে।
দুই ধাপের এই নির্বাচনে প্রথম রাউন্ডের ভোটে যদি কোনো প্রার্থী ৫০ ভাগের কম ভোট পায় তাহলে আগামী ২৬ অক্টোবর দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট হবে।
রৌসেফের ওয়ার্কার্স পার্টি (পিটি) একযুগ শাসন মূল্যায়নের গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছে এই ভোটকে।
দেশটির ভোটাররা মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্রতার কবল থেকে বের করে এনে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা রৌসেফের দল পিটি’র সমর্থক। অন্যপক্ষ দুর্নীতি নির্মূল, জনসেবার মান বাড়াবে এমন কোনো নেতার সমর্থক।
রৌসেফের শাসনামালে ব্রাজিলে বেকারত্ব রেকর্ড ৫ ভাগে নেমে এসেছিল। ন্যূনতম মজুরি বেড়েছিল। কিন্তু গত ১৮ মাসে মন্দা, দুর্নীতি, জনসেবার অবনতি ও বিশ্বকাপ ফুটবলের খরচ নিয়ে ব্রাজিলবাসী ক্ষুদ্ধ।
প্রসঙ্গত, ব্রাজিলে ১৮-৭০ বছরের নাগরিকদের ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে প্রতিবার ভোটগ্রহণ হয়ে থাকে। ভোটদানের দুই এক ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৪