ঢাকা: রহস্যঘেরা মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ এমএইচ৩৭০ অনুসন্ধানে ফের দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত সোনার প্রযুক্তির একটি জাহাজ ইতোমধ্যে সম্ভাব্য নিখোঁজ স্থানে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।
এছাড়া প্লেনটি যখন ‘বিধ্বস্ত’ হয় তখন এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলছিল বলে জানিয়েছে অনুসন্ধানকারী কর্তৃপক্ষ। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে কর্তৃপক্ষ জানায়, এমএইচ৩৭০ ভারত মহাসাগরে ‘বিধ্বস্ত’ হয়েছে। স্থানটি অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বাধীন যে দলটি অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করছে সম্প্রতি তারা ভারত মহাসাগরে ৫৮টি ‘কঠিন বস্তুর’ সন্ধানের কথা জানিয়েছিল। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী লিও টিয়ং লাই বলেন, অনুসন্ধানকারী জেএসিসি দলটি খোঁজ পাওয়া বস্তু উদ্ধারে এখন ভারত মহাসাগরের মাঝখানে আছে। উদ্ধারের পর বস্তুগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
তিনি বলেন, আমরা ৫৮টি কঠিন বস্তু খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো ঠিক এমএইচ৩৭০’র ধ্বংসাবশেষ কিনা তা বলতে পারছি না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে সেসব বস্তু পরীক্ষা করে দেখতে হবে। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
এছাড়া ভারত মহাসাগরে নিখোঁজ মালয়েশীয় উড়োজাহাজ এমএইচ৩৭০ খুঁজতে গিয়ে সমুদ্রগর্ভের অজানা তথ্য বেরিয়ে আসে। প্রথমবারের মতো সমুদ্র তলদেশে বিলুপ্ত আগ্নেয়গিরি ও ১৪০০ মিটার( ৪৫৯৩ ফুট) খাদেরও অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
২৬টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত অনুসন্ধান দলের প্রকাশ করা থ্রিডি ছবিতে সমুদ্রতলদেশের এসব অজানা তথ্য উঠে এসেছে। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
গত ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিং যাত্রাকালে নিখোঁজ হয় এমএইচ৩৭০। তারপর নানা সময় নানা কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত নিখোঁজ প্লেনটি রহস্যই থেকে যায়। ওই প্লেনে ২৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। ধারনা করা হচ্ছে, যাত্রীরা সবাই নিহত হয়েছেন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৪