ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে ‘দ্য গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০’ সম্মেলনে ইউক্রেন ও ইবোলা সংকট নিয়ে রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন পশ্চিমা নেতারা। যদিও বৈঠকে অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো।
সমালোচনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই রোববার (১৬ নভেম্বর) সমাবেশস্থল ত্যাগ করেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের প্রথমদিনে কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনসহ পশ্চিমা নেতারা এ সমালোচনা করেন।
এক বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, মস্কোর আগ্রাসন সারা বিশ্বের জন্যই হুমকি হয়ে উঠেছে।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় জোটকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক আইন ও সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর অবশ্যই নির্ভর করতে হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তির নিরাপত্তাসহ শান্তিতে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।
এছাড়া এশিয়া অঞ্চলের সংকট নিরসন প্রভাব, বলপ্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শনের ওপর ভিত্তি করে করা যাবে না। বরং এটা নিরসনে পারস্পরিক সমঝোতা, নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক আইনসহ অন্যান্য ইস্যুগুলোতে গুরুত্বারোপ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ওবামা।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার বলেন, পুতিনের উচিত ইউক্রেন ইস্যু থেকে সরে যাওয়া।
সমাবেশস্থল ত্যাগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুতিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখান থেকে রাশিয়ায় ফিরতে হলে দীর্ঘ বিমান যাত্রা করতে হবে। এজন্য একটা ভালো ঘুম দেওয়া জরুরি ছিল। তাই রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপন দিয়ে শেষ করার আগেই বৈঠক ত্যাগ করেছি।
এদিকে জি-২০ সামিটের শুরুতে বলা হয়, ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা শুধু রাশিয়াতেই নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারতসহ ক্ষমতাধর ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
** শেষ দিনে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে নজর
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৪