ঢাকা: এক তৃতীয়াংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস। ২০১৪ সালের বড় দুই বিমান দুর্ঘটনার ক্ষতি পুষিয়ে এয়ারলাইনসটিকে আবার দাঁড় করাতে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে এয়ারলাইনসটিতে ২০ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। এদের মধ্যে ৬ থেকে ৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের শিকার হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টা তদারকি করতে একজন ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাও নিয়োগ করেছে এয়ারলাইনসটি।
এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়া এয়ারলাইসনসের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টোফ মুলার বলেন, প্লেন চলাচল কার্যক্রম অত্যন্ত ব্যবসায়িক একটা ব্যাপার।
২০১৪ সালের ৮ মার্চ দুইশ ৩৯ জন আরোহী নিয়ে বিস্ময়করভাবে নিখোঁজ হয় এয়ারলাইনসটির ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০। প্লেনটি অথবা এর আরোহীদের আজ পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার তিন মাস পর একই বছর ১৭ জুলাই দুইশ’ ৯৮ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় অপর একটি ফ্লাইট এমএইচ-১৭। এই দুই দুর্ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস।
এছাড়া আগে থেকেই মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস লোকসানে ছিল। ২০০৮ সালের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি আর লাভের মুখ দেখেনি। সেই সঙ্গে ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি লোকসানের মুখে পড়ে। এই তিন বছরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস মোট একশ’ ৩০ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান দেয়।
সব ধরণের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এয়ারলাইনসটিতে একশ’ ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের পুনর্গঠন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে অলাভজনক রুটগুলো বন্ধ করে দেওয়া, নতুন ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পর্ষদ নিয়োগ ও কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তে গেছে এর পরিচালনা পর্ষদ।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বেশ কিছু সম্পদও বিক্রি করে দিয়েছে। এছাড়া খাজানা ন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানটির কিছু শেয়ারও কিনে নিয়েছে। খাজানা ন্যাশনাল মালয়েশীয় সরকারের সম্পদ তহবিল। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের ৭০ শতাংশের মালিকানা এই তহবিলের অধীনে।
বর্তমান প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টোফ মুলার এর আগে আইরিশ বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থা আয়ের লিঙ্গাসে কর্মরত ছিলেন। তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় শুন্যের কোঠা থেকে উঠে প্রতিযোগীতামূলক বাজারে বিশেষ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৫
আরএইচ