ঢাকা: ১৯৭৭ সালে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণকারী মহাকাশযান অ্যাপোলো-১৪ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল একটি পাইন গাছের বীজ। চাঁদের মাটিতে এই বীজ কোনো কাজে লাগেনি তখন।
আইডাহো স্টেটসম্যান পত্রিকা এ-ব্যাপারে একটা প্রতিবেদন ছেপেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈগল হিস্টোরিক্যাল মিউজিয়ামের কিউরেটর অ্যালানা ডান্ গাছটির এই রুগ্নদশার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। এরপর স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা গাছটির বীজ থেকে চারা গজানোর চেষ্টায় হাত দেয়। এ-উদ্যোগটির নেতৃত্ব দিচ্ছে থার্ড গ্রেডার স্টুডেন্ট প্যাটি হেনেকিন।
"আমাদের ইতিহাসে এই গাছটির একটা বিশেষ স্থান রয়েছে। মহাকাশ অভিযানের ব্যাপারে বাচ্চাদের জানতে সহায়তা করার ব্যাপারটা খুবই উপভোগ্য। ‘’—বলছিলেন অ্যালানা ডান্।
নভোচারী স্টুয়ার্ট রোজা বনবিভাগের অনুরোধে তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের সঙ্গে পাইন গাছের বীজ নিয়ে গিয়েছিলেন চাঁদে। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল জিরো গ্র্যাভিটিতে গাছ টিকে থাকতে পারে কিনা, এমন পরিবেশে গাছের উপর কেমন প্রভাব পড়ে বা গাছ কিভাবে সাড়া দেয় তা পরখ করে দেখা। মহাকাশ অভিযান থেকে ফেরার পর বীজগুলোকে জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপর সেগুলোকে উপহার দেওয়া হয় কয়েকটা স্কুলকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
জেএম