পেশোয়ার: স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানে ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গেছে পানিতে।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বন্যা ও ভূমি ধসের পর প্রবল বর্ষণে মৃত্যের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খাইবার পাখতুন খা প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী মিয়া ইফতেখার হুসেইন জানান, বন্যায় মৃত্যের সংখ্যা ১২শ’ থেকে বেড়ে ১৫শ’ হতে পারে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ডাইরেক্টর অব অপারেশন অতীব সিদ্দিকী বলেন, ৮০ বছরের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহতম বন্যা। বন্যা কবলিতদের জন্য এখন সবার আগে প্রয়োজন সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা।
এদিকে ত্রাণ সহায়তার মন্থর গতির জন্য দুর্গতরা কর্তপক্ষের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করছে। বিভিন্ন স্থানেই দুর্গতদের সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।
জাতিসংঘের হিসেবে বন্যায় প্রায় ৯ লাখ ৮০ হাজার মানুষ স্থায়ী বা সাময়িকভাবে ঘরবাড়ি হারিয়েছে।
নওসেরা, চারসাদ্দা, মার্দান ও পেশোয়ারে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির হিসেবে দেখা যায়, ৪ জেলায় প্রায় ৮০ হাজার বাড়ি-ঘর ধ্বংস এবং আরও ৫০ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাহায্যকর্মী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী যথাসাধ্য ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৈয়দ জহির আলী শাহ বলেন, প্রায় ১ লাখ মানুষ পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে যাদের বেশিরভাগই শিশু।
প্রাদেশিক মুখমন্ত্রী আমির হায়দার হতি বলেন, নজিরবিহীন এ বন্যায় মৃত ও বাস্তুচ্যুতদের প্রকৃত সংখ্যা জানতে আরও ১০ দিন সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১০