শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি। আরেক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে হামলার স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশের পর এই বিবৃতি দিল এইচআরডব্লিউ।
এতে বলা হয়, ‘১১ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর স্যাটেলাইটে ধরা পড়া সক্রিয় আগুনের চিত্র নির্দেশ করছে যে, মংডু শহরের নতুন এলাকার গ্রামগুলোতে এখন ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য টার্গেট করা হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের গ্রাম মিয়ানমারের সেনাবাহিনী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জ্বালিয়ে দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
এইচআরডব্লিউ’র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লোকজনকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করার পর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞের প্রধান কার্যক্রম হয়ে উঠেছে নির্বিচারে অগ্নিসংযোগ।
অ্যামনেস্টির মতো এইচআরডব্লিউও স্যাটেলাইট চিত্র ও সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করে জানায়, ২৫ আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে ৬২ শতাংশ গ্রাম অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।
এ বিষয়ে বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া ডিভিশনের উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, স্যাটেলাইটের চিত্র যেটা নির্দেশ করেছে সেটার সমর্থনে আমাদের মাঠ পর্যায়ের সমীক্ষাও বলছে- মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি নির্বিচারে জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মতে, রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানে অন্তত ৩ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তাদের বর্বরোচিত অভিযানের মুখে অন্তত ৪ লাখ রোহিঙ্গা এরইমধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। পুরো বিশ্ব সরব হয়ে এই গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭
এইচএ/