পুরো বিশ্ব যখন সোচ্চার-মানবতার জন্য লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ, পাশে দাঁড়িয়েছে সরকারসহ দেশের সাধারণ মানুষ। তখনও নিজ দেশের এই হত্যাযজ্ঞ থামাতে কোনো ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না অং সান সু চি কে।
যদিও সু চি’র ফেসবুক ওয়ালে রোহিঙ্গা ইস্যুটি একেবারেই অনুপস্থিত, তার বদলে শোভা পাচ্ছে নানা অনুষ্ঠানের জমকালো সব ছবি। কিন্তু তার কাভার ফটোতে প্রায় ১৯ হাজার মন্তব্য করেছে নানা দেশের মানুষ। তারা সু চি’র সমালোচনা করছেন খুনি আখ্যা দিয়ে।
করিম হামিদ লিখেছেন, আপনি এতদিন আমার পছন্দের তালিকায় ছিলেন। এখন চলে গেছেন অপছন্দের তালিকায়। রোহিঙ্গাদের প্রান্তিক অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন? আপনি মানুষ নামের কলঙ্ক।
তানবির আলম মন্তব্য করেছেন, মুসলিম গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে এই খুনির বিচারের দাবি তোলা হোক। অসংখ্য নারী এবং শিশু হত্যাকারী এই অং সান সু চি। মানবতার ঘৃণিত শত্রু এই নারী। তার পৈশাচিকতা সভ্য পৃথিবীর জন্য লজ্জা।
রোসালিন্ড রবিনসন নামে একজন লিখেছেন, সু চি তুমি শান্তিতে নোবেল জয়ী হয়ে গণহত্যাকে সমর্থন করছো! এটা লজ্জার। রোহিঙ্গারা কয়েকশো বছর ধরে মিয়ারমারের নাগরিক। তোমার তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ।
এদিকে জামার্নির নাগরিক গেসি বলেন, আমরা ইউরোপীয়রা বার্মার(মিয়ানমার) সঙ্গে সব ধরনের কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবো। একটি দেশে এভাবে গণহত্যা চলতে পারে না।
গুজরাট সিধু হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে লিখেছেন, হিটলার নিশ্চয় দুঃখ করছেন, তার মৃত্যুর পরে সু চি-কে নোবেল দেওয়া হলো, বেঁচে থাকলে হিটলারকেও দেওয়া হতো।
মন্তব্যকারীদের অনেকেই জানতে চাইছেন, যখন নিজের ফেসবুক ওয়ালে এমনই হাজার হাজার মন্তব্য রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার, গণহত্যা বন্ধ করার, তখন সু চি’র এই নিরবতাও কি সুখী করতে পারছে তাকে?
বাংলাদেশ সময়: ০২২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
এসআইএস