সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মুম্বাইয়ের থানে থানার সাবেক এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ ও বর্তমান চাঁদাবাজি প্রতিরোধ সেলের প্রধান প্রদীপ শর্মার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মুম্বাইয়ের একটি বিল্ডার কোম্পানির অভিযোগ সূত্রে দায়ের করা ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ইকবাল।
পুলিশ মনে করছে, ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি দাউদ ইব্রাহীমকে ধরার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ইকবালের গ্রেফতার। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং জানান, দাউদের ব্যাপারে তারা কিছু বলতে চান না। তবে শিগগির কিছু ঘটতে পারে। তার সেই কথার সপ্তাহবাদেই ইকবালকে গ্রেফতার করা হলো।
দীর্ঘদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা ইকবালকে ২০০৩ সালে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে তখন একটি হত্যা মামলায় পরোয়ানা জারি হয়েছিল। অবশ্য চার বছর পর আদালত ইকবালকে ওই মামলা থেকে খালাস করে দেয়।
ইকবালের বড় ভাই দাউদ ইব্রাহীম ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ের সিরিজ বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বলে মনে করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ওই হামলায় ২৫৭ জন নিহত হয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের চোখেও দাউদ ইব্রাহীম ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’।
ভারতে জন্ম নিলেও দাউদ ইব্রাহীম সাম্প্রদায়িক চিন্তা-ভাবনা থেকে স্বদেশে সন্ত্রাসী হামলায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই সহায়তা দেয় বলেও মনে করে নয়াদিল্লি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএএম/এইচএ