ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

তাসির হত্যা মামলার বিচারক নিরাপত্তার জন্য সৌদি গেলেন

আন্তজাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১২, অক্টোবর ২৬, ২০১১
তাসির হত্যা মামলার বিচারক নিরাপত্তার জন্য সৌদি গেলেন

লাহোর: পাকিস্তান সরকার পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান তাসির হত্যা মামলার বিচারক পারভেজ আলী শাহকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছে।

একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মমতাজ কাদরির বিচার চলাকালে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্বপালনকারী সাইফুল মুলকরে উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, মৃত্যুর হুমকির কারণেই শাহ পরিবার-পরিজনসহ সৌদি আরব যেতে বাধ্য হয়েছেন।

পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হওয়ায় সরকার শাহকে সৌদি আরবে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

যদিও শাহ এবং তার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। তারপরও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সরকার তাকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

মুলক বলেন, ‘তাকেও মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সরকার আমার নিরাপত্তার জন্য দুজন পুলিশ দিয়েছে যা যথষ্টে নয়। ’

বিচারক পারভেজ আলী শাহ সালমান তাসিরের আত্মস্বীকৃত খুনি মালিক মমতাজ হোসেন কাদরিকে (২৭) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।  

ওই রায়ে শাহ বলেন, ‘কোন অবস্থাতেই কাউকে হত্যার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন তাকে ক্ষমা করা যায় না। ’

সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতের বিচারক পারভেজ আলী শাহ মমতাজ কাদরিকে ১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এরপর একদল আইনজীবী তার আদালত কক্ষে তাকে হন্যে হয়ে খোঁজে এবং ধর্মীয় চরমপন্থী গ্রুপগুলো তাকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপর থেকেই তিনি ছুটিতে ছিলেন।

এরই প্রেক্ষিতে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বিচারক পারভেজ আলী শাহকে সৌদি আরবে পাঠায়।

২৭ বছর বয়সী কাদরি সালমান তাসিরের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন। ধর্ম অবমাননার (ব্লাশফেমি) দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত একজন খ্রিস্টান নারীর ফাঁসির বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন সালমান। ওই মহিলা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

তাসিরের ওই বক্তব্য পছন্দ হয়নি কাদরির। তাই তিনি তাসিরকে হত্যা করেন। পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দমন করতে ব্লাশফেমি আইন ব্যবহারের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।

 বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।