আইজল: ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ভারতের মিজোরাম রাজ্যে নারী-পুরুষের সবচেয়ে ভালো অনুপাত লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ‘অপ্রত্যাশিত’ শিশুদের নিয়ে উদ্বেগে আছে মিজোরাম।
৯ অক্টোবর রাতে রামলুন এলাকার একটি রাস্তার উপর আটমাস বয়সী একটি কন্যা শিশু পাওয়া যায়। তারপরের দিন কুলি কাওয়ান এলাকায় একটি মন্দিরের পাশে একটি ভ্রুণ, সম্ভবত গর্ভপাত ঘটানো শিশু পাওয়া যায়। মিজোরাম মনিপুর সীমান্তের পলরাং গ্রামে ২২ অক্টোবর আরেকটি শিশু পাওয়া যায়।
একজন সমাজকর্মী জানান, মিজোরামে শিশু হত্যা এবং ভ্রুণ হত্যার হার বাড়ার একটা কারণ হতে পারে মিজোরামে মায়ানমার এবং মনিপুর থেকে মিজো জাতিগোষ্ঠীর আগত লোকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া।
শিশু অধিকার কর্মী এবং রাজ্যের শিশু কল্যাণ কমিটির (সিডব্লিউসি) র্যাটফেলা নিউ জানান, অবিবাহিত নারীদের মধ্যে গর্ভপাতের হার উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, মাদক এবং অ্যালকোহল সেবনকারী অনেক পেশাদার যৌনকর্মী সন্তান জন্মদানে ব্যাপারে আগ্রহী নন।
ড. সি লাহেরেকিমা নামের একজন নামকরা মনস্তত্ত্ববিদ জানান, মিজোরামে শিশু এবং ভ্রুণ হত্যা একটি সামাজিক সমস্যা। লাহেরেকিমা আরও বলেন, অনেক নারী অপ্রত্যাশিত শিশুদের নিয়ে পরামর্শের জন্য আসেন। তারপর তারা সন্তান নিতে রাজী হন।
সিডব্লিউসি ২০০৫ সাল পর্যন্ত এরকম শিশুদের অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত এক হাজার একশো টি মামলা লড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব শিশুদের এতিমখানা এবং শিশু হোমে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১১