লন্ডন: স্টুডেন্ট ভিসা পাবার ক্ষেত্রে ভারতের প্রায় এক হাজার নয়শ’ ব্যাংকে কালো তালিকাভুক্ত করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বৃটিশ কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও কঠিন করল বৃটেন।
ভারতীয় শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে এই ব্যাংকগুলোর কোনো আর্থিক প্রতিবেদন বৃটিশ কতৃপক্ষের কাছে আর গ্রহণযোগ্য হবে না।
তালিকায় থাকা অধিকাংশ ব্যাংকই মূলত সমবায় কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই ঘোষণার ফলে হাজার- হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসায় বৃটেনে যাওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হল।
নতুন তালিকা অনুযায়ী বৃটিশ কতৃপক্ষ ভারতে কার্যক্রমরত মাত্র ৮৫টি ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদনকে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে গ্রহণ করবে।
বৃটেনে পড়তে ইচ্ছুক বিদেশী ছাত্রদের ভিসা প্রদানের জন্য বৃটিশ কর্তৃপক্ষের টায়ার-৪ নামে একটি প্রক্রিয়া আছে। এর অধীনে বৃটেন যেতে হলে প্রত্যেক বিদেশী শিক্ষার্থীকে তার নিজের পড়াশোনা এবং অন্যান্য খরচ বহনের সামর্থ্য থাকতে হবে।
এ জন্য ব্যাংকে তার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখার আর্থিক প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হয়।
নতুন প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে ভারতের প্রায় ১৯০০ ব্যাংকের দেওয়া আর্থিক প্রতিবেদন বৃটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আর গ্রহণযোগ্য হবে না।
তালিকায় থাকা অনুমোদিত ৮৫টি ব্যাংক মূলত ভারতে কার্যক্রমরত আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যায়ের ব্যাংক। এ ছাড়াও তালিকায় সরকার অনুমোদিত বেশ কিছু আঞ্চলিক ব্যাংকও রয়েছে যারা গ্রাহকদের পরিপূর্ণ ব্যাংকিং সেবা দেয়।
এর আগে গত বছর বৃটিশ কর্তৃপক্ষ পাকিস্তান এবং ফিলিপাইনের ক্ষেত্রেও স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অনুমোদিত এবং অঅনুমোদিত ব্যাংকের একটি তালিকা প্রকাশ করে।
সম্প্রতি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ব্যাংক প্রদত্ত আর্থিক প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ায় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১১