ঢাকা: জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষে ইএফএসএফ তহবিল গড়ার বিষয়ে বুধবার ভোটাভুটিতে জিতে গেলেন চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মের্কেল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোর মুদ্রা ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।
ইউরোপের বেশ কিছু দেশে অভিন্ন মুদ্রা ইউরো সঙ্কটে পড়েছে। সে দেশগুলোকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে জার্মানির ভূমিকা নিয়ে জার্মান সংসদের গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভোটিতে পূর্ণাঙ্গ সমর্থন পেয়েছেন চ্যান্সেলর মের্কেল।
ফলাফলে চ্যান্সেলরের সমর্থনে ৫০৩ সাংসদের ভোট পড়েছে। মোট ৬২০ সাংসদের এই নিম্নকক্ষে এদিন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৮৯ সাসংদ। আর চারজন সাসংদ ছিলেন অনুপস্থিত।
বিশ্বজোড়া আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রা ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মের্কেল বেশ কিছুদিন ধরেই চিন্তিত। বিগত বছরগুলোতে ইউরোপের পিছিয়ে পড়া অর্থনীতির দেশ গ্রিস, আয়ারল্যান্ডের জন্য সাহায্য দেওয়ার সময়ে জার্মানিকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হয়েছিল৷
কিন্তু এখন যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশেই দেখা যাচ্ছে এই সমস্যা, তখন মের্কেল ইউরোকে বাঁচাতে চাইছিলেন একটি অভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করতে। ইউরোপীয়ান ফিনান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ফান্ড বা ইএফএসএফ নামের যে প্যাকেজে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতাশটি দেশ অংশ নেবে এবং সহায়তা করবে। যাতে ভবিষ্যতে এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে তার মোকাবিলা করার কাজটা সহজতর হয়ে যায়।
সেক্ষেত্রে তার নিজের দেশের সংসদে আজকের এই সম্মতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোকে বাঁচাতে তাই মের্কেলের স্লোগান ছিল, ‘নাউ অর নেভার’৷
ইএফএসএফ তহবিলের পক্ষে সংসদের দারুণ সমর্থন পেয়েছেন চ্যান্সেলর। তবে তার নিজের সিডিইউ সিএসইউ জোট সরকারের বেশ কিছু সাংসদ বিপক্ষে গিয়েছেন তার সরকারের সিদ্ধান্তের।
বুধবার বুন্ডেস্টাগে ইএফএসএফ তহবিলের পক্ষে মের্কেলের এই সম্মতিলাভ অবশ্যই ব্রাসেলস সম্মেলনে কাজে দেবে।
ফ্রান্সের পরামর্শ ছিল, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের ওপরেই যাবতীয় আর্থিক দায় দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার। কিন্তু অন্যান্য দেশসহ জার্মানির প্রবল চাপের মুখে তা খারিজ হয়ে যায়।
বর্তমানে যে অবস্থানে জার্মানি নিজেকে নিয়ে যেতে পারল, তাতে ব্রাসেলসের বৈঠকে এই ইএফএসএফ তহবিল গড়ার বিষয়ে আলোচনা তিনি আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে আর্থিক মহলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১১