ব্যাংকক: বন্যা কবলিত থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের অধিবাসীরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বৃহস্পতিবার শহর ছাড়তে শুরু করেছেন।
আতঙ্কিত মানুষেরা বাস, ট্রেন এবং বিমানে করে যে যেখানে পারে চলে যাচ্ছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার হুমকির মুখে সরকার ব্যাংকক নগরীর কিছু এলাকার অধিবাসীদের শহর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানায়। শহর ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সরকার ৫ দিনের বিশেষ ছুটি ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার মূল শহরের বেশিরভাগ অংশ শুকনো রয়েছে। কিন্তু গত বুধবারেই হাজার হাজার লোক ব্যাংককের মো চিৎ বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ঘোষিত ছুটির মধ্যেই সবাই ব্যাংক ছাড়ার চেষ্টা করছেন বলে এই ভীড়। সুবর্নভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও শহর ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছুক লোকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে ।
ব্যাংককের ৫০টি জেলার মধ্যে মাত্র তিনটি জেলায় শহর ছেড়ে যাওযার সতর্কতা জারি করেছে সরকার। কিন্তু সামনের দিনে পুরো শহর বন্যা কবলিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। একারণে, বন্যার পানি আসার আগেই ৯০ লাখ মানুষের শহর ব্যাংকক ছেড়ে অনেক মানুষই নিরাপদ আশ্রয়ের খোজেঁ চলে যেতে শুরু করেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে সরকার ব্যাংককের সাইমাই জেলার জন্য নতুন করে সতর্কতা জারি করে এলাকার অধিবাসীদের স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
ওই এলাকার রাস্তাগুলোর উপর দিয়ে প্রায় কোমড় সমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে। শহরের গ্যাস স্টেশন ও বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে।
ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ব্যাংকক ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
থাইল্যান্ডে মার্কিন দূতাবাস নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, থাইল্যান্ডে সড়ক পথে ভ্রমণ।
থাইল্যান্ডে গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ বন্যায় এ যাবত প্রায় ৩৭৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। প্রবল মৌসুমি বর্ষণের কারণে সৃষ্ট এই বন্যা গত জুলাই মাসে শুরু হয় এবং এখনও বন্যার ভয়াবহতা উত্তরোত্তর বাড়ছে।
বন্যায় অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচেছ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১১