পার্থ: কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ অস্ট্রেলিয়ার শহর পার্থে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। ৫৪টি দেশের এই সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী ২বিলিয়ন লোকের প্রতিনিধিত্ব করে।
এই শীর্ষ সম্মেলনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সংস্কার নিয়েও এই সম্মেলনে আলোচনা হবে।
কমনওয়েলথের বেশিরভাগ সদস্যদেশের নেতারাই দুইদিনের এই সম্মেলনে যোগ দিতে পার্থে পৌঁছেছেন। একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা জানিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোন কারণ ছাড়াই এই সম্মেলন যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন।
অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পার্থের মহাসড়কে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের এই বৈঠক প্রতি দুই বছর বছর পর অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি এক গুচ্ছ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য ব্রিটেনের বর্তমান এবং সাবেক মিত্র উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে এটা একটা সুযোগ।
একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধি পার্থ থেকে জানান, এবারের সম্মেলনে চিরাচরিত বিষয়ের পাশাপাশি কয়েকটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়টি।
কমনওয়েলথের আগামী শীর্ষ সম্মেলন শ্রীলঙ্কাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের নারী উত্তরাধিকারীদের পুরুষদের মতো সমমর্যাদায় উত্তরাধিকার দেওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কমনওয়েলথ দেশের নেতারা সংস্থাটির ২০০পাতার একটি নিজস্ব প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করবেন।
খবরে বলা হয়, বিশ্বমঞ্চে আরও সক্রিয়ভাবে কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে না পারলে সংগঠনটি তার প্রাসঙ্গিকতা হারানোর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১১