তিউনিস: আরব বসন্ত পরবর্তী তিউনিশিয়ার নির্বাচনে জয়লাভ করেছে দেশটির মডারেট ইসলামী দল এন্নাহদা। মোট ভোটের ৪১.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে দলটি জয়লাভ করেছে।
গত নয়মাসের আন্দোলনের ফলে দেশটির তৎকালীন শাসক বেন আলী পদচ্যুত হয়।
নির্বাচন কমিশনার কামাল জেন্দুবি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এন্নাহদা সংসদের ২১৭ টি আসনের মধ্যে ৯০ টি আসনে জয়লাভ করেছে। এর ফলে তারা সংবিধান পরিবর্তন, প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করা এবং একটি তত্তাবধায়ক সরকার গঠণ করতে পারবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘অপরদিকে দ্য লেফটিস্ট কংগ্রেস ফর দ্য রিপাবলিক দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। তারা পেয়েছে মোট ভোটের ১৩.৮ শতাংশ এবং সংসদীয় আসন পেয়েছে ৩০টি। এরপরই এত্তাকাতল পেয়েছে ২১টি আসন।
তবে, নির্বাচন পরবর্তীতে সিদি বাওজিদ শহরে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই সিদি বাওজিদ শহর থেকেই মূলত বেন আলীকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। দুই হাজারেরও বেশি তরুন সিদি বাওজিদের এন্নাহদা’র সদরদপ্তরের দিকে যায়। সেখানে তারা টায়ার পুড়িয়ে দেয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর পাথর ছুড়ে মারে। এসময় বিক্ষোভরত তরুনদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ মাঠে নামে।
বিক্ষোভ পাশ্বর্বর্তী মেনজেল বাওজানিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে প্রায় এক হাজার মানুষ এন্নাহদা’র পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেয়।
এন্নাদাকে সরকারীভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করার পর পার্টির নেতা রশিদ ঘান্নোচি বলেন, ‘তিউনিশিয়ার ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য আমরা বিপ্লব চালিয়ে যাবো। তিউনিশিয়া সবার জন্য। এখানে সবারই তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। ’
এন্নাহদাকে বেন আলীর ক্ষমতার সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। নির্বাচনে জেতার পর এন্নাহদা এখন নতুন সরকার গঠনের জন্য জোট বাধবার চেষ্টা করছে।
তবে দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘এন্নাহদা দেশ শাসনে যথেষ্ট বাঁধার মুখে পড়বে। কারণ সংসদে তাদের আধিপত্য থাকলেও বিরোধীদের আধিপত্যও কম নয়। কারণ লেফটিস্ট পার্টি ইতোমধ্যেই বাম ব্লক তৈরি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১১