ওয়াশিংটন: পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়ার জন্য সিরিয়া পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক আবদুল কাদির খানের সঙ্গে কাজ করেছিল। জাতিসংঘের এক তদন্তে এ তথ্য জানা গেছে।
একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার কাছে ওই তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাংশে যে ভবনগুলো রয়েছে তা লিবিয়ার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনার নকশার সঙ্গে মিলে যায়।
লিবিয়ার প্রয়াত নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনামলে লিবিয়া যখন পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছিলো তখন আবদুল কাদির খান তাদের ওই ধরনের নকশা দিয়েছিলেন।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাও আব্দুল কাদির খানের সঙ্গে সিরিয়া সরকারের কর্মকর্তা মুহিদিন ইসার যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছে।
১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের সফল পরীক্ষার পর দেশটির সঙ্গে সিরিয়ার বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার প্রস্তাব দেন ইসা। তিনি পাকিস্তানের কাদির খানের গবেষণাগারও দেখে আসেন।
সিরিয়ার আল হাসাকাহ শহরের একটি ভবন কমপ্লেক্স দেখে মনে হয় সুতা তৈরির কারখানা। এই স্থানটি কখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এমন কোনও চিহ্নও পায়নি জাতিসংঘ তদন্ত দল।
তবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ২০০৭ সালে হামলা চালিয়ে সিরিয়ার একটি সন্দেহজনক প্লুটোনিয়াম উৎপাদন রিঅ্যাক্টার ধ্বংস করে। লিবিয়ার ওই নকশার সঙ্গে মিলে যাওয়া ভবন কমপ্লেক্সের নকশা দেখে ধারণা করা যায়, সিরিয়া হয়ত ইউরেনিয়ামের সঙ্গে প্লুটোনিয়াম বোমা তৈরিরও পরিকল্পনা করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১১