ঢাকা: পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে বসতি স্থাপনের ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে প্রভাবশালী ইউরোপীয় রাষ্ট্র সমূহ।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ ইসরায়েলের এই কার্যকলাপকে ‘উস্কানিপূর্ণ এবং অসহযোগিতামূলক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ফ্রান্স এবং জার্মানি বলেছে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ শান্তি প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করবে।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের তীব্র বিরোধিতা সত্বেও জাতিসংঘের সহযোগী সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কোতে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তির পর ইসরায়েল নতুন করে বসতি স্থাপনের এ ঘোষণা দেয়।
ডেভিড হেগ তার বিবৃতিতে বলেন, বসতি স্থাপনের ইসরায়েলি পরিকল্পনা বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
এছাড়াও তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রাপ্য রাজস্বকে স্থগিত করার ইসরায়েলি ঘোষণারও সমালোচনা করেছেন।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বার্নার্ড ভেলেরো বলেন, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের নতুন বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেআইনি এবং এতে দুই রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়া হুমকির সম্মুখীন হবে।
ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের মতো জার্মানিও ইসরায়েলের দেওয়া এই ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করেছে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের মুখপাত্র স্টিফেন সিবার্ট বলেন ‘ফিলিস্তিনের দখলীকৃত এলাকায় ইসরায়েলের বসতি স্থাপনের এই সিদ্ধান্ত আমাদের সকলের প্রস্তাবিত দুই রাষ্ট্র সমাধান প্রক্রিয়াকে বিঘিœত করবে এবং এটিকে অন্যায্য প্রমাণিত করবে। ’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় গত মঙ্গলবার জানায়, তারা অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে ২হাজার ইহুদি বসতি স্থাপন করবে।
আর এ বসতি স্থাপনকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি অন্যায্য নয় বরং ইসরায়েলের মৌলিক অধিকার হিসেবেও উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু ।
ইসরায়েলের তীব্র বিরোধিতা সত্বেও ইউনেস্কোতে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের প্রতি এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এ ছাড়াও ইসরায়েল একই দিনে আরেকটি ঘোষণায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের রাজস্ব বাবদ প্রাপ্য অর্থ ছাড়কেও আটকে দেওয়ার কথা জানায়।
এদিকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ শান্তি প্রক্রিয়াকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১১