ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ার কালিমানতান অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রায় ৭০০টি ওরাংওটাং খেয়ে ফেলেছে। তবে এটা তাদের স্বাভাবিক খাবার নয়।
ইন্দোনেশিয়ার বর্নিও দ্বীপে ওই ওরাংওটাংদের বসবাস।
ইন্দোনেশিয়ার দ্য ন্যাচার কনসারভেন্সি (টিএনসি) সংস্থার সহকারী পরিচালক সুচি উতামি আতমোকো বলেন, ‘ওরাংওটাংগুলো হত্যার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। বাসিন্দারা যখন খাবারের কিছু পায়নি তখনই তারা ওরাংওটাং ধরে খেয়েছে। ’
এই প্রাণী হত্যার কারণ হিসেবে তিনি আরও জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা কখন্ও অবশ্য নিরাপত্তার কারণেও ওরাংওটাং হত্যা করে। এছাড়া তারা ওরাংওটাংয়ের মাংস থেকে এক প্রকার ওষুধ তৈরি করে।
২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিএনসি’র করা এক জরিপে দেখা গেছে, কালিমানতানের ৬৯৮টি গ্রামের ৬ হাজার ৯৭২ জন বাসিন্দাদের সবাই ওরাংওটাং হত্যার সঙ্গে জড়িত।
টিএনসি’র প্রকল্প পরিচালক নেইল মাকিনউদ্দিন বলেন, ’এখানকার ৭০ শতাংশ মানুষই জানেন ওরাংওটাং বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীর তালিকাভুক্ত। এদের সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে এই চঞ্চল প্রাণীটির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে অথবা খাবারে অভাবে লোকজন এসব হত্যা করে থাকতে পারে। ’
তবে বিলুপ্তি ঠেকাতে খুব শিগগির ওরাংওটাংদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা খুলে দেওয়া হবে বলে জানান নেইল। ওরাংওটাং হত্যাকারীদের শাস্তির বিধান করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
টিএনসির তথ্য মতে, কালিমানতানে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার ওরাংওটাং ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এদের সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে।
পিপল অ্যান্ড ন্যাচার কনসাল্টিং ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক এরিক মেইজারদ বলেন, ‘এক বছরে যদি এক শতাংশ স্ত্রী ওরাংওটাং হত্যা করা হয় তাহলে অতিদ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাবে এই প্রজাতি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১১