ব্যাংকক: ব্যাংককের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা বৃহস্পতিবার বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় অধিবাসীদের দ্রুত শহর ছেড়ে যাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
তবে অনেক লোক সরকারের সতর্কতা উপেক্ষা করে নিজ ঘরবাড়িতে অবস্থান করছেন। এতে তারা পানিবাহিত রোগ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ব্যাংকক মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষের মূখপাত্র জেত সপিতপংস্তর্ন জানিয়েছেন, রাজধানীর ২০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। কেউ জানে না ঠিক কত মানুষ আটকা পড়েছে।
তিনি আরও জানান, বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত ১১ হাজার মানুষ শহরের বিভিন্নস্থানে সাময়িকভাবে স্থাপিত আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
ব্যাংককের কেন্দ্রস্থল এখনো বন্যার কবলমুক্ত থাকলেও নগরীর উত্তর এবং পশ্চিমের বেশ কিছু এলাকায় কোমড় সমান বা তারও বেশি ময়লা পানিতে ডুবে গেছে।
বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪৩৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেলেও ব্যাংকক থেকে কোনও মৃত্যুর খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
এর আগে কর্তৃপক্ষ বন্যার হুমকিতে থাকা ব্যাংককের ৫০টি জেলার মধ্যে ৮টির অধিবাসীদের এলাকা ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে নোটিশ জারি করেছিল।
এদিকে বন্যায় সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, সরকার ব্যাংকক শহরতলীর অভিজাত শপিংমল, বিলাসবহুল হোটেল এবং ধনী-অভিজাতদের ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য তাদের ঘরবাড়ি উৎসর্গ করেছে।
এ নিয়ে সম্প্রতি বিক্ষোভও হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কিছু বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধ্বংস করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১১