ঢাকা: অত্যন্ত কর্মব্যস্ত জীবন মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করে। এতে করে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মানুষ ভুলে যায়।
অ্যাভারি অফিস অ্যান্ড কনজিউমার প্রডাক্টের উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।
২ হাজার জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মধ্যে পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, তাদের অর্ধেকেরও বেশি নিজেদের ভুলোমনের জন্য দায়ী করেছেন তাদের বিদঘুঁটে কর্মব্যস্ত জীবনকে।
একসঙ্গে অনেক কাজ করার কারণে তারা ফিরতি টেলিফোন কল মিস করেন, ইমেইলের উত্তর দেওয়া, সহকর্মীদের নাম, প্রিন্টারের মধ্যে কাগজ ফেলে যাওয়া এবং বাড়িতে লাঞ্চের প্যাকেট ফেলে রেখে আসার মতো ভুলগুলো তারা করেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক চতুর্থাংশ বলেন, তারা অনেক কিছুই মনে রাখতে পারেন। পাঁচ ভাগের এক ভাগ জানান, একদিনের সবকাজ করার জন্য যথেষ্ট সময় তারা পান না।
অর্ধেকেরও বেশি বলেন, বয়স যতো বাড়ছে তারা ততোই ভুলোমন হয়ে যাচ্ছেন।
তাদের পাঁচজনে একজন গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড ভুলে যান। চারজনে একজন মোবাইল ফোনের ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়ার কথা ভুলে যান। ১২ শতাংশ জানান, প্রায়ই ছুটির দিনে অ্যালার্ম ঘড়ির বিরক্তিকর আওয়াজ শুনে তাড়াতাড়ি জেগে ওঠেন কারণ ওই দিন অ্যালার্ম বন্ধ করতে ভুলে গেছেন।
গবেষক দলের সদস্য গ্রেগ করবেট জানান, একজন মানুষকে প্রতিদিন অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হয়। একারণে প্রায়ই জটিলতার সৃষ্টি হয়। মানুষ প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে যায়।
তিনি বলেন, ‘এতে বলা যায়, জীবনকে যতো সহজ করব, ততোই ভাল বোধ হবে এবং আমরা ততো কম ভুল করব। ’
অতিরিক্ত ব্যস্তার কারণে মানুষ বাড়ি এবং অফিস সবখানেই অনেক ভুল করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ব্যস্ত জীবনে মানুষের ভুলে যাওয়া শীর্ষ ১০টি বিষয়:
ফিরতি ফোনকল, ইমেইলের উত্তর দেওয়া, পরিচিতদের নাম, কারো জন্মদিনের শুভেচ্ছা, মোবাইল ফোনের ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড, ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে রাখা, টবে পানি দেওয়া, প্রিন্টার থেকে কাগজ বের করে নেওয়া, ময়লা ফেলা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১১