তেগুচিগালপা: দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকায় হন্ডুরাসের ১৭৮জন পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়, ‘পুলিশ অফিসাররা হত্যা, অপহরণ এবং মাদক চোরাচালানির মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ’
হন্ডুরাসে কয়েকদিন আগে দুই ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে চারজন পুলিশ। কিন্তু বিচারে ওই পুলিশ সদস্যরা কোনো সাজা না পেয়েই বের হয়ে আসলে দেশব্যাপী পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষাভ শুরু হয়।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে প্রেসিডেন্ট পোরফিরিও লোবো শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কমান্ডারদের বহিস্কার করেন। একই সঙ্গে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সেনা মোতায়েন করেন।
লোবো বলেন, ‘জাতীয় পুলিশ থেকে আমরা পঁচা আপেলগুলো ছুড়ে ফেলেছি। ’
এদিকে দেশটির কংগ্রেস পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন এবং দুর্নীতি রোধ করতে নতুন আইন তৈরির সুপারিশ করছে।
এছাড়াও সম্প্রতি রাজধানীর একটি পুলিশ স্টেশন থেকে তিনশতটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং গুলি চুরি হয়ে গেছে। এনিয়েও জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হন্ডুরাসে অপরাধ প্রবণতা ভয়াবহ মাত্রায় বেড়েছে। দেশটির পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ায় অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
জাতিসংঘের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ‘২০১০ সালে বিশ্বে খুনের রেকর্ড সবচেয়ে বেশি হন্ডুরাসে। বেশিরভাগ হত্যাকান্ডই ঘটেছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির মধ্যকার কোন্দলের কারণে। ’
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকোতে দক্ষিণ অমেরিকান কোকেন পাচারের অন্যতম পথ হিসেবে বিবেচিত হয় হন্ডুরাস।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১১