ত্রিপোলি: লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে লিবিয়ার যুদ্ধ। মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে লিবিয়াকে।
ত্রিপোলি জয়ের দুইমাস অতিবাহিত হলেও এখনও ত্রিপোলিতে প্রতিদিনই অসংখ্য রক্তপাতের ঘটনা ঘটছে। অপরদিকে বেড়েই চলেছে অস্ত্র চোরাচালান এবং অস্ত্র মজুদ প্রক্রিয়া।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে সাহায্য করতে চাইলেও প্রাথমিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে লিবীয়দেরই। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সৈন্যদের কাছ থেকে অস্ত্র পুনরুদ্ধারে ব্যার্থ হচ্ছে। আর লিবিয়ার নেতারা এই ব্যার্থতার দায় চাপাচ্ছেন অপরিমিত অর্থের দিকে। অর্থ সংকটের কারণেই নাকি সৈন্যদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ’
গতমাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পর্যবেক্ষকরা লিবিয়ার এক মরুভূমিতে একটি অরক্ষিত অস্ত্র ভান্ডারের সন্ধান পান। সেখানে কয়েক হাজার অস্ত্রের খালি খোলস পাওয়া গেছে। ওই সকল অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান, বিমান বিধ্বংসী গোলা, রকেটচালিত গ্রেনেডের মতো বিধ্বংসী সব অস্ত্র।
বিশাল সংখ্যক এই অস্ত্র ভুল হাতে পড়লে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সতর্ক করে দিয়ে জানায়, ‘কাধ থেকে নিক্ষেপনযোগ্য অনেক মিসাইল সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই অস্ত্র বিমান চলাচলের জন্য হুমকিস্বরূপ। কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে এই অস্ত্র পড়লে তা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। ’
লিবিয়ার জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের সদস্য আবদেল হাফিজ ঘোগা বলেন, ‘সীমান্ত সংরক্ষনে কাতারের মতো বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোর সহায়তা দরকার। কিন্তু এর জন্য কোনো বিদেশী সৈন্য যেন লিবিয়ার মাটিতে না আসে। কারণ সেটা জাতীয় সার্বভৌমত্বকে খর্ব করবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১১