সিউল: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী কিম তাই হো (৪৭) পদত্যাগ করেছেন। দুনীর্তির অভিযোগ ও দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় রোববার তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।
প্রেসিডেন্ট লি মিয়াং বেকের কাছ থেকে দায়িত্ব নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর কিম পদত্যাগ করলেন। মূলত লি এবং তার কার্যপ্রণালীর পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতেন চান না বলে জানান দক্ষিণের জিয়ানংসাং প্রদেশের সাবেক এ গভর্ণর।
তার পদত্যাগের ঘোষণার সময় তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদগুণ। কিন্তু মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে না পারলে আমার এ প্রধানমন্ত্রী পদের কোনো মূল্য নেই। ’
জাতীয় সভায় শুনানির সময় কিম সমালোচিত হওয়ায় তার পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধী ডেমক্রেটিক দল। প্রচারণার সময় অবৈধভাবে ঋণ নেওয়া, কর ফাঁকি দেওয়া ও এক ব্যবসায়ীকে ঘুষ দেওয়া সম্পর্কে মিথ্যাচারের অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে।
এদিকে দুনীর্তির দায়ে তার বিরুদ্ধে ডিসেম্বরে মামলা গঠনের কথা নিশ্চিত করেন আইনজীবীরা।
মূলত মন্ত্রী পরিষদ পূর্ণবিন্যাসের অংশ হিসেবে ৮ আগস্ট কিমকে এ পদে নিয়োগ দেন লি। জুনে সারা দেশজুড়ে স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল গ্র্যান্ড ন্যাশনাল দলের ভরাডুবির পর সরকারে বড় ধরনের রদবদল করা হয়।
এর অংশ হিসেবে আরও ছয়জনকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু নৈতিক স্খলনের অভিযোগে রোববার জ্ঞান অর্থনীতি ও সংস্কৃতি মন্ত্রীও পদত্যাগ করেন।
এদিকে পাঁচ বছর মেয়াদী ক্ষমতার দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর এ ঘটনা লি’র কাজকে আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১০