ওয়াশিংটন: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নেতারা প্রায় দুবছর পর বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে প্রত্যক্ষ আলোচনা সম্পন্ন করলেন। আলোচনা শেষে উভয় দেশের নেতাই শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে সম্পন্ন এ আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কূটনীতিক জর্জ মিশেল।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন এ আলোচনাকে ‘সংঘাত বন্ধের সুযোগ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
সকল ধরনের বসতি স্থাপন বন্ধ করাসহ গাজার অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান আব্বাস। তবে কষ্টদায়ক হলেও এক্ষেত্রে উভয় পক্ষেরই বিষয়গুলো মেনে নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটা সহজ কোনো কাজ নয়। সত্যিকার দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য উভয় পক্ষের পারস্পরিক ও কষ্টদায়ক স্বীকারোত্তি প্রয়োজন। ’
আলোচনা শুরুর সময় হিলারি বলেন, ‘এ আলোচনায় আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে এবং আমরা দেশ দুটির কার্যকর এবং নিরবিচ্ছিন্ন অংশীদার থাকবো। তবে ওয়াশিংটন কোনো সমাধান চাপিয়ে দিবেনা। ’
হিলারি আরও বলেন, ‘আলোচনার প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- ভূখন্ড, নিরাপত্তা, জেরুজালেম, শরণার্থী, বসতি স্থাপন ও অন্যান্য। আমরা যদি অপেক্ষা করি তাহলে এসব সমস্যা আরও জটিল হবে। এসব সমস্যা তাদেরকেই সমাধান করতে হবে। ’
তবে আলোচনায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও ফিলিস্তিনের মাটিতে ইহুদী বসতি স্থাপনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়।
আব্বাস বলেন, ‘সব ধরনের বসতি স্থাপন প্রক্রিয়া বন্ধ করাসহ গাজা অবরোধ তুলে নেওয়ার ইসরায়েলি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য আমরা দেশটির সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। ’
তবে ফিলিস্তিনের কাছে ইসরায়েলকে একটি ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেওয়ার দাবি জানান নেতানিয়াহু।
নেতারা আগামী ১৪-১৫ সেপ্টেম্বর আবারও আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন বলে আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে জর্জ মিশেল জানান। এরপর প্রতি দু’সপ্তাহ পরপর তারা আলোচনায় বসবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ ও কার্যকর সমর্থনে দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগে ২০ মাস পর এধরনের আলোচনা সম্পন্ন হয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আলোচনার উদ্বোধন করেন এবং উভয় নেতাকে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে এক বছরের সময়সীমা বেঁধে দেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১০