চীন ও রাশিয়ার হুমকি থেকে বাঁচতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বুধবার ( ৩১ আগস্ট) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট প্রস্তাবনায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির বিষয়টি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
ওই বাজেট প্রস্তাবনায় বলা হয়, চীন একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে শক্তি প্রয়োগের হুমকি অব্যাহত রেখেছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও গভীর করছে। এটি সামরিক অনুশীলনের মাধ্যমে তাইওয়ানের চারপাশে চাপ প্রয়োগ করছে এবং চীনের বাকি অংশের সঙ্গে তাইওয়ানকে একত্রিত করার উপায় হিসাবে সামরিক শক্তির ব্যবহার করতে চাইছে।
মার্কিন রাজনীতিবিদ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এই মাসের শুরুতে তাইওয়ান সফর করার পরে দ্বীপটির চারপাশে সেনা মহড়া চালায় চীন। এ সময় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের ভূখণ্ড থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পড়ে।
এদিকে কুরিল দ্বীপপুঞ্জ ও সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে টোকিওর সঙ্গে মস্কো ও বেইজিংয়ের বিরোধ রয়েছে।
ওই বাজেট প্রস্তাবনায় উত্তর কোরিয়া জাপানের জন্য যে ঝুঁকিপূর্ণ তাও উল্লেখ করা হয়েছে। এই বছর বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে কিম জং উন প্রশাসন।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী ডিসেম্বরে জাপান সরকার একটি নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণ করবে, যা আগামী পাঁচ বছরে জাপানের সামরিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করার জন্য সংশোধন করা হচ্ছে। তখন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ব্যয়ের বিবরণ প্রকাশ করা হবে।
জাপান এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার নিরাপত্তা জোট জোরদার করেছে। এছাড়া দেশটি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা প্রসারিত করছে।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২২
ইআর