চীনকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘ। বুধবার ( ৩১ আগস্ট) প্রকাশিত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেতে মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সংবাদসংস্থা এএফপিকে মিশেল জানিয়েছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনব বলে কথা দিয়েছিলাম। সেটাই করলাম। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুতর। তাই জাতীয় এবং আঞ্চলিক স্তরের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিনজিয়াং প্রদেশে চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসদমনের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নপুংসক করার মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। অনেকেই গুম হয়েছে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাদের। এই সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে রাষ্ট্রসংঘের ৪৯ পাতার রিপোর্টে উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে চীনের সরকার, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে নজর দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন মিশেল। তবে জিনজিয়াং উইঘুর অঞ্চলে গণহত্যার কোনও উল্লেখ নেই জাতিসংঘের রিপোর্টে। এতদিন ধরে চীনের সমালোচকরা এনিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তার কোনও উল্লেখ নেই রিপোর্টে।
এদিকে রিপোর্ট প্রকাশের পরই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন,যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সহযোগীতায় এই প্রতিবেদন করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, এএফপি
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
ইআর