হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ এক তরুণীকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইরানের পুলিশের বিরুদ্ধে । এ ঘটনার কয়েকদিন পরই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
জানা যায়, মাহশাকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি কোমায় ছিলেন। কয়েকদিন পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কুর্দিস্তান থেকে দেশের রাজধানী তেহরানে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। সেখানে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি। এই সময়ই আচমকা তিনি ইরানের নৈতিকতা–সংক্রান্ত পুলিশ বাহিনীর চোখে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সেখানে আরও অন্য নারীদেও ধরে আনা হয়েছিল হিজাব না পরার কারণে।
মাহশার ভাই কিয়ারাশ আমিনি সেদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনিও সেখানে ছিলেন। তাদের সামনেই মাহশাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তিনি থানার সামনে পৌঁছলে ঘণ্টাখানেক সেখানে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়াতে দেখেন।
ওই তরুণীর জিজ্ঞাসাবাদের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছে পুলিশ। কিন্ত সেখানে ১৯ সেকেন্ডের ভিডিও নেই। যা ঘিরে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে।
মাহশার ভাই কিয়ারাশ জানাচ্ছেন, আমরা লড়ব। কিন্তু সকলেই জানে এখানকার সিস্টেমটা কেমন। তবু আমি চুপ থাকব না। আমি সকলকে বলব ইরানে কী হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
ইআর