ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রেওয়া জেলার নয়গাড়ি থানা এলাকায় এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছিল কয়েকজন ব্যক্তি। ধর্ষণের পর তাকে মারধরও করা হয়।
এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)। সূত্র: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
অভিযোগ পেয়ে ধর্ষণে অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জনের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ওই ঘটনার পর পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর এক পুরুষ বন্ধু। তিনি পুলিশকে জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তারা দু’জন মন্দিরে পুজা দিতে গিয়েছিল। পুজো দেওয়ার পর তারা মন্দির চত্বরেই এক প্রান্তে বসে গল্প করছিল। সে সময় দু’জনের উপর চড়াও হয় ওই ছয়জন। কিশোরীকে তার (বন্ধু) সামনেই মন্দির চত্বর থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন এলাকায়।
কিশোরীর বন্ধু জানায়, দু’জনেই ওই ধর্ষণকারীদের কাছে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাতর আবেদন জানান। কিন্তু তাদের কোনো কথাই শোনেনি ওই ছয় বখাটে। ওই কিশোরীর উপর নিরবিচ্ছিন্ন অত্যাচার চালানোর পর তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। যাওয়ার আগে দু’জনকেই প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে ছয়জন। তাদের মধ্যে দু’জন নাবালক। অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জনকে রোববার গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি তিন জনেরও খোঁজ চলছে। আপাতত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রেফতার তিন জনের বাড়িতে বুলডোজার চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাড়িগুলো বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। রেওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, বাকি তিনজন গ্রেফতার হলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছয় জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, ডাকাতি, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের ধারায় অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে, অপরাধীদের বাড়িতে বুলডোজার চালানোর নিয়ম চালু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। বিজেপি শাসিত রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে ‘বিচারের আগেই’ বিচার রীতিমতো জনপ্রিয়ও হয়। যে কারণে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীর নামই হয়ে যায় ‘বুলডোজার যোগী’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা,সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
জেডএ