ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমির খামার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমির খামার

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমির খামার রেপটাইলস ফার্ম পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রথম বারের মতো পর্যটকদের জন্য খামারটি উন্মুক্ত করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ডা. আবু সাইম মোহাম্মদ আরিফ এ তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পর্যটকদের জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কুমির খামারটি উন্মুক্ত থাকবে। টিকেটের প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১৫০ টাকা, অপ্রাপ্তদের জন্য ১০০ টাকা। আর শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বিশেষ ছাড়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার হাতিবেড় গ্রামে কুমির খামারে এ নিয়ে একটি প্রেস বিফিংয়ের অয়োজন করা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে পর্যটন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পরিচালনা পরিষদ।

এ সময় রেপটাইল ফার্ম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. নাইম আহমেদ বলেন, মুখ থুবড়ে পড়া খামারটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১ হাজার ৭৩০টি কুমির অসুস্থ পাই। তখন প্রতিদিনই কুমির মারা যাচ্ছিল। সেই সংকট কাটিয়ে আমরা এখন একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছি। যেহেতু কুমিরের চামড়া ছাড়া মাংস দাঁত হাড় রপ্তানি করা যায় না, তাই খরচ চালানো একটু কঠিন হয়ে পড়ছে। এ জন্য পর্যটন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া। পর্যটন খাত থেকে যা আয় হবে তা দিয়ে কুমিরের খাবারের অনেকটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। বর্তমানে খামারটিতে আড়াই হাজারের মতো কুমির আছে।

রেপটাইল ফার্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুমির বিশেষজ্ঞ এনাম হক বলেন, এই কুমির খামারটিকে বিশ্বের অন্যতম খামার হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই। পর্যটনের পাশাপাশি এখানে একটি রিসার্স সেন্টারও করা হবে। মানুষ এখন অনেক ভ্রমণপ্রিয় হচ্ছেন। তাই এ খাতে সফলতা আসবে বলে মনে করছি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০০৪ সালে ভালুকায় ১৫ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক কুমিরের খামার রেপটাইলস ফার্ম। খামারের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন মুশতাক আহমেদ। আর ৩৬ শতাংশ মালিকানা নিয়ে সঙ্গে ছিলেন মেজবাহুল হক। ২০১২ সালে খামারের শেয়ার ছেড়ে দিলে মালিকানায় চলে আসেন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার। এরপর থেকেই খামার দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ বের করে নেন পিকে হালদার। ২০২০ সালে সরকার পিকে হালদার ইস্যুতে ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করলে হুমকিতে পড়ে কুমিরের পরিচর্যা।

পরে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ড. নাইম আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৬ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ড ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি খামারের কার্যক্রম শুরু করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।