ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার: শামীম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার: শামীম

শরীয়তপুর: পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, সারাদেশে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। কোথাও যেন নদী ভাঙন না হয়, সে লক্ষেই কাজ করা হচ্ছে।  

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ৫৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে শরীয়তপুরের সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া থেকে চরভাগা, কাঁচিকাটা হয়ে পদ্মা নদীর ডান তীর ঘেঁষে ঘড়িষার ইউনিয়নের সুরেশ্বর চরমোহন পর্যন্ত প্রায় ৬.২ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ ‘সোনার বাংলা অ্যাভিনিউ’ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৫ বছরে সারাদেশে নদীভাঙনের পরিমাণ কমে এসেছে। এসব সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা করোনাকালে ও বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। যে কারণে হাওড়ের কৃষকেরা সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন। কোনো প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি যাতে না হয় এবং কাজের ক্ষেত্রে যাতে গুণগতমান বজায় থাকে, সেজন্য নিয়মিত মনিটরিংও করা হয়।  

কাজের ব্যাপারে কোনো ধরনের গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না হুঁশিয়ার করে শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত দেশ গড়তে চান। এজন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। আগামীতে ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। মহাপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এনামুল হক শামীম বলেন, আমার প্রথম কাজ ছিল, নড়িয়া পৌরসভাকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা। আজকে বেড়িবাঁধ হওয়ায় নড়িয়া জমির দামও বেড়েছে। শুধু নড়িয়াই নয়, পদ্মাসেতু থেকে জাজিরা, সখিপুর ও শরীয়তপুর শহরেও কীর্তিনাশাকে ভাঙন হাত থেকে রক্ষায় প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। নড়িয়ার জয় বাংলা অ্যাভিনিউর মতো এই এলাকায়ও পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নেবে। শরীয়তপুরকে একটি উন্নত জেলায় পরিণত করতে কাজ করছি আমরা।  

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, উত্তর তারাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস মোল্যা প্রমুখ।

পরে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম উত্তর তারাবুনিয়া, দক্ষিণ তারাবুনিয়া, ডিএমখালী, আরশিনগর ও সখিপুরে গণসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।