ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সোনারগাঁয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যসহ আহত ৮

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৪
সোনারগাঁয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যসহ আহত ৮

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া এলাকায় শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এ ঘটনায় আহত মো. সুমন মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেছেন।

বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।  

আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার ঘটনা প্রচার হলে উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুনরায় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পানাম গাবতলী গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মো. সুমনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতা চলে আসছিল। এর জেরে গত বুধবার রাত ৯ টার দিকে হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাবু ও সুমন মিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে তাজুল ইসলামের বাড়ির সামনে প্রতিপক্ষ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে রাম, দা, ছোরা, লাঠিসোটা, লোহার রড, হকিস্টিক, এসএস পাইপ নিয়ে জামান, তাজুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, সিফাত, সোহাগ, হৃদয়, রফিক, ইমরান, মিহিন উল্লাহসহ ২০-২৫ জনের একটি দল গতিরোধে হামলা চালায়। এ সময় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাবু ও সুমন মিয়াকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

তাদের ডাক চিৎকারে ওই এলাকার মোক্তার, শামীম, ইব্রাহিম, হানিফা, আবু ইউসুফ হামলা কারণ জানতে চাইলে তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। হামলার ঘটনা প্রচার হলে উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পুনরায় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নংওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাবু জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারে ইন্ধনে দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী ২নং ওয়ার্ড সদস্যআব্দুল্লাহ আল মামুনের ওপর হামলা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার রাতেও আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলার চেষ্টা করে। তাকে এগিয়ে দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি।

অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের কোনো শত্রুতা নেই। স্থানীয় এক ছেলেকে মারধরের ঘটনায় চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দাবি করার কারণে মামুন ও বাবু মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়। এ কারণে তর্কবিতর্কে সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়েছেন।
 
বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হামলার ও সংঘর্ষে আমার কোনো প্রকার ইন্ধন নেই। এতে আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা চলছে।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৪
এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।