দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ চাওয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন। সেটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নামে কমিশন।
প্রতারণার ঘটনায় দুদকের মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন গ্রেপ্তার হলো। সোমবার (৩০ জুন) দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, গত ২৪ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি পোস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি গোচর হয়। ইতোমধ্যে দুদক উক্ত পোস্ট আমলে নিয়ে ঘটনাটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মরত একজন পরিচালকের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ র্যাব ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রতারক চক্রটিকে সনাক্ত করে চক্রের মূলহোতা সেলিমসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারকচক্রের অন্য হলো- মো. সেলিম, মো. তরিকুল ইসলাম, মো. আতিক, মো. আব্দুল হাই সোহাগ ও সোহাগ পাটোয়ারী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক, পরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নাম পরিচয় ও ছবি হোয়াটসআ্যাপসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণাপূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
এসএমএকে/এমজে