এরশাদের স্বৈশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ ধরে এদিন সারা দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। নিজের বুকে ও পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে মিছিলে অংশ নেন নূর হোসেন।
জিপিও’র সামনে জিরো পয়েন্টে শহীদ হন নূর হোসেন। ওই স্থানটি নূর হোসেনের নামে নামকরণ করে নূর হোসেন স্কয়ার করা হয়েছে। তার মহান আত্মত্যাগের এই দিবসটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা।
শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নুর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ৮টায় রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসের সাহসী পুরুষ শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এসকে/এমজেএফ