ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

বিচারের অপেক্ষায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন জুলাই শহীদ রাব্বীর মা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১১, জুলাই ২, ২০২৫
বিচারের অপেক্ষায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন জুলাই শহীদ রাব্বীর মা  জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মাগুরার শহীদ রাব্বীর মা সালেহা বেগম সন্তান হত্যার বিচারের আশায় রয়েছেন

মাগুরা: ষাট ঊর্ধ্ব সাহেলা বেগম। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছেলে শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বী হত্যার বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এই মা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একটি বছর পার হয়ে গেলেও ছেলে হত্যার বিচার না পাওয়ায় হতাশ গোটা পরিবার।

বুধবার (০২ জুলাই) কান্নাজড়িত কণ্ঠে সালেহা বেগম বলেন, ‘এক বছর আমার ছেলে মারা গেছে। এহনো কোন বিচার আচার আমি পাইনি। ’ তিনি ছেলে হত্যার বিচারের দাবি করেন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত রাব্বীকে বীরশ্রেষ্ঠ পদমর্যাদায় সম্মান প্রদানে আবেদন করা হয়েছে।

নিহত রাব্বী জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মাগুরা পৌরসভার বরুনাতৈল গ্রামের মৃত ময়েদ উদ্দিনের ছেলে তিনি। স্থানীয়রা জানান, গত বছর ৪ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী নবগঙ্গা নদীর ব্রিজের ওপর অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।  

ব্রিজের পশ্চিম পাশে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়ে এ আন্দোলনে যোগ দেন।

আন্দোলনে উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ শুরু হয়। দিনব্যাপী চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা। দুপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হন রাব্বী। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রদান তাকে মৃত ঘোণা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাতে মেহেদী হাসান রাব্বীকে দাফন করা হয়।

মেহদী হাসান রাব্বি নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৩ জনের নামে গত বছর ১৩ আগস্ট মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই ইউনুস আলী। আসামি হিসেবে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তবে এ মামলায় আজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে ১৫০ জনকে। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

মামলার বাদী ইউনুস বলেন, পুলিশ এখনো এই মামলার চার্জশিট প্রদান করেনি। আটক করতে পারেনি কোনো আসামিকে। একটি বছর শেষ হয়েছে, আমরা খুবই মর্মাহত।

মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহামুদা বলেন, জুলাই-আগস্টের নিহতদের মামলায় একাধিক মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। দেখা যায় কোন কোন মামলায় দুশ’ থেকে তিনশ; জনকে আসামি করা হয়েছে। সেখানে তদন্ত করে অপরাধীদের বের করতে সময় লাগছে। অভিযুক্ত আসামি গ্রেপ্তার ও পুলিশি তদন্ত চলামন রয়েছে।

এসএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।