ঢাকা, রবিবার, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ জুলাই ২০২৫, ২৪ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আজীবন স্মরণে রাখতে হবে: নার্গিস বেগম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০৩, জুলাই ২০, ২০২৫
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আজীবন স্মরণে রাখতে হবে: নার্গিস বেগম ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনসহ জুলাই অভ্যুত্থানে জেলার সকল শহীদের স্মরণে যশোরে বৃক্ষরোপণ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম এবং কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

যশোর: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াই-সংগ্রাম আর জুলাই অভ্যুত্থানের সকল শহীদকে আমাদের আজীবন স্মরণে রাখতে হবে। তাদের আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে আমরা গণতন্ত্রে উত্তোরণের একটি ধাপ অতিক্রম করতে পেরেছি।

তাদের চেতনার পথ বেয়েই পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সফল হবো।

রোববার (২০ জুলাই) ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে যশোর জেলা বিএনপি ও কৃষক দলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই কথা বলেন।

যশোর পৌর ও উপশহর পার্কে এই বৃক্ষরোপণ করা হয়। শহীদদের নামে গাছের চারা রোপণ করেছেন তাদের স্বজনেরা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এসময় শহীদদের রুগের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, এই গাছ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন মানুষ জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। সে কারণে প্রতিটি গাছ এক একজন শহীদের নামে রোপণ করা হয়েছে। সেই গাছের সাথে শহীদের নামটিও খোদাই করে রাখা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, আগামী প্রজন্ম ফ্যাসিস্ট পতনের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। ফ্যাসিস্ট মুক্ত করার পেছনে যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন আমরা তাদের স্বজনদের সাথে দুঃখ-বেদনা ভাগাভাগি করে নিতে চাই।  

প্রসঙ্গত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি সারা দেশে ৩৬ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে ‘সবুজে পল্লবে স্মৃতিতে অম্লান’ স্লোগানে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।  

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, প্রিয় নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সীমিত সামর্থের মধ্যে শহীদদের স্মরণ করার চেষ্টা করেছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের রায়ে আগামীতে বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের নামে একেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করতে চান। যাতে নিজ নিজ অঞ্চলের মানুষ শহীদদের নাম স্মরণ করতে পারে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মকবুল হোসন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী টি এস আইয়ূব।  

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিবুল ইসলাম কচি। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, শহিদুল বারী রবু এবং জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শিকদার সালাউদ্দিন।

জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, পৌর পার্কে যশোর সদর, শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা উপজেলার ৪৬ জন এবং উপশহর পার্কে মণিরামপুর, কেশবপুর, বাঘারপাড়া এবং অভয়নগর উপজেলার ২২ জন শহীদের নামে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।

এসএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।