ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

নাচোলে বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ সহোদরের মৃত্যু 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২৪, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
নাচোলে বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ সহোদরের মৃত্যু  ঘটনাস্থল

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুরে অধিপাত্য বিস্তারের জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে দুই সহোদর।

 

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ও গভীর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।  

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতদের বোন তাঞ্জিলা বেগম।

নিহতরা হলেন- মিলন (৬০) ও তার ছোট ভাই আলম (৫৫)। তারা উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মারকইল, সাহাপুকুর মহল্লার বাসিন্দা। তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আব্দুস সালাম তুহিনের সমর্থক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম তুহিন ও সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে। এরই ধারাবাহিকতায় গত তিনদিন আগে আমিনুল ইসলামের সমর্থক তরিকুল, কামরুল, শফিকুলকে মারধর করে আব্দুস সালাম তুহিনের সমর্থকরা। এরই জেরে মঙ্গলবার সকালে পাল্টা হামলা করে আমিনুল ইসলামের সমর্থকরা। এতে অন্তত ১৪ জন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে আটজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিলন ও তার ছোট ভাই আলম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।  

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেনি। মিলনের পারিবারিক সূত্র এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে মিলন ও তার ভাই আলম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।  

এ ঘটনায় কোনো পক্ষ মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে বলে জানান তিনি।  

এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার কথা বলা হলেও সেটি রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয় বলে দাবি করেছিলেন বিএনপির নেতারা। তাদের দাবি, স্থানীয় বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়।

এর আগে মঙ্গলবার হামলার বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেছিলেন, দুই পক্ষে বিএনপির লোকজন থাকলেও হামলা কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে হয়নি। স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। একই কথা বলেছিলেন, নাচোল থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে নয়, স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতির দ্বন্দ্ব থেকে ঘটেছে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।