ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

নাটোরে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১০ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৩৮, জুলাই ২২, ২০২৫
নাটোরে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১০  হাসপাতালে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহতরা  

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঢাকায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (২১ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চক কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।  

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- স্থানীয় জামায়াতের সভাপতি নাজমুল ইসলাম (৩৫), সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম (৩৫), জামায়াতের কর্মী ফরিদ উদ্দিন (৪৫), মো. স্বপন (৩০), মো. সাগর (২৫) ও সুমাইয়া খাতুন (১২) এবং বিএনপির সমর্থক হাবিল উদ্দিন (৩৫), কাবিল উদ্দিন (৪৫), কাউছার আলী (২৫) ও মো. কোরবান (২১) আহত হন।

আহত ব্যক্তিরা সবাই সিংড়ার চক কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাদের নাটোর সদর হাসপাতাল ও সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চামারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি নাজমুল ইসলাম স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ কিছু মানুষকে নিয়ে দলটির ঢাকার জাতীয় সমাবেশে যোগ দেন। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির কর্মী হাবিল উদ্দিন, কাবিল উদ্দিন ও কাউছার আলী ক্ষুব্ধ হন। সমাবেশ থেকে ফেরার পর গতকাল সোমবার দিনগত রাতে চক কালিকাপুর গ্রামের ‘ভেজালের মোড়’ এলাকায় জামায়াতের নেতা নাজমুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে দুই পক্ষের অন্য সমর্থকেরাও রড, হাতুড়ি ও হাঁসুয়া নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে আহত জামায়াত নেতা মো. নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কিছু সাধারণ মানুষ ঢাকার দলীয় সমাবেশে গিয়েছিলেন। এটা বিএনপির লোকজন মেনে নিতে পারছেন না। তাই অহেতুক গোন্ডগোল বাধানোর জন্য তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা অনেকেই আহত হয়েছি। ’

তবে আহত বিএনপির সমর্থক হাবিল উদ্দিন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন সমাবেশে গেছেন, এতে আমাদের কিছু বলার নেই। তারা এলাকায় ফিরে গন্ডগোল বাধানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে আমাদের মারপিট করেছে।

নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মাহবুব হোসেন দুপুরের দিকে জানান, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে। তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত।  

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাননি। মৌখিকভাবে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।