টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামীকে অপরহরণ করে চার লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে স্ত্রীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন-উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মোল্লা (৩৪), মীর দেওহাটা গ্রামের মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), একই এলাকার রহিম সিকদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. রানা (২০), বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের মঙ্গল সিকদারের ছেলে আরিফ (৩৩) ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন তালচানা গ্রামের আলকেসের কন্যা আকলিমা বেগম (৪০)।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ওই নারী অপহরণের শিকার ভুক্তভোগীর স্ত্রী। শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ তাদের কারাগারে পাঠিনোর আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রাম থেকে অপহরণের শিকার রহিম মিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে নারীসহ ওই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এ চক্রের নেতৃত্ব দেওয়া রাকিব হোসেন (১৮) নামের এক তরুণ পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে।
পুলিশ জানায়, একই ইটভাটায় কাজ করার সময় অপহরণের শিকার আব্দুর রহিমের সঙ্গে গ্রেপ্তার আকলিমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং একপর্যায়ে তারা বিয়েও করেন। ইটভাটার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আব্দুর রহিম তার নিজ এলাকায় চলে যায়। সেখানে তার আরেক স্ত্রী রয়েছে।
৬-৭ মাস ধরে আব্দুর রহিম আকলিমার সঙ্গে যোগাযোগ না করায় তাকে শায়েস্তা করার ফন্দি আটেন স্ত্রী আকলিমা। ফোন করে তাকে মির্জাপুরে আসতে বলেন তিনি। আব্দুর রহিম মির্জাপুরে আকলিমার ভাড়া বাসায় আসার পরপরই এ মামলায় পলাতক রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে গ্রেপ্তার অন্যরা আব্দুর রহিমকে মারধর করে এবং পরে গোড়াই পালপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করেন। এরপর তার স্বজনদের কাছে ফোন করে ৪ লাখ টাকা দাবি করা হয়। জিম্মি আব্দুর রহিমের স্বজনরা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নির্ণয় করে দ্রুত অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেএইচ