কুষ্টিয়া: পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি ক্যাম্প। কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির অধীনস্থ দৌলতপুর উপজেলার উদয়নগর বিওপি ক্যাম্পটি দুই-তৃতীয়াংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে জরুরি ভিত্তিতে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন, চারপায়া এবং জনবল নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটের মাধ্যমে দ্রুত পার্শ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে স্থানান্তর সম্পন্ন করা হয়।
সেখানে থাকা বিজিবির সব সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম নিরাপদ ও সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান।
তিনি জানান, গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার সময় কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীনস্থ উদয়নগর বিওপি সংলগ্ন পদ্মা নদীতে প্রবল স্রোত ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে আকস্মিক ভাঙন দেখা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং অবশিষ্ট অংশ নিরাপত্তাজনিত কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও জানান, সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনা করে এর আগে গত ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট ওই বিওপ থেকে স্থানান্তরযোগ্য অধিকাংশ সরঞ্জামাদি পার্শ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে জরুরি ভিত্তিতে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন, চারপায়া এবং জনবল নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটের মাধ্যমে দ্রুত পার্শ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে স্থানান্তর সম্পন্ন করা হয়। বর্তমানে সব সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম নিরাপদ ও সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।
তিনি জানান, উদয়নগর বিওপি সংলগ্ন পদ্মা নদী একটি চোরাচালান প্রবণ এলাকা। এ প্রেক্ষাপটে চরচিলমারী বিওপি থেকে বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও স্পিডবোট ব্যবহার করে টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিকল্প স্থানে নতুন বিওপি অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভিযানিক কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান থাকে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানান, বর্তমানে পদ্মায় পানি কমছে। এতে কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় জিও ব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ফেলে রক্ষার চেষ্টা করা হলেও তা কাজে আসেনি।
এসআরএস
