রাঙামাটি: বাংলাদেশ নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মানুষের আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। প্রান্তিক পার্বত্য জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় অবদান রাখতে পেরে আমরা গর্বিত।
১৫-১৬ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য যুক্তরাজ্যের সহায়তায় পরিচালিত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম দেখতে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সফর শেষে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এ কথা বলেন।
সফরকালে তিনি পার্বত্যাঞ্চলের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেন এবং প্রসূতিদের নিরাপদ প্রসব, পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রথমবারের মতো জরায়ুমুখ ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের মতো সেবার খোঁজ-খবর নেন।
যা বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ এবং স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এছাড়াও যুক্তরাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষাখাতেও সহায়তা দিচ্ছে। সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা শিশুদের, বিশেষ করে মেয়েদের, মূল ধারার শিক্ষায় ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। এ উদ্যোগের ফলে বান্দরবানে দুই হাজার ৭০০ এর বেশি শিশু আবার আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় যুক্ত হয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে ১২ হাজারের বেশি নিরাপদ প্রসব সম্পন্ন হয়েছে এবং আট হাজারের বেশি নারী জরায়ুমুখ ক্যানসার স্ক্রিনিং সেবা পেয়েছেন।
হাইকমিশন থেকে আরও জানানো হয়, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, প্রান্তিক পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এসআই