ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ আশ্বিন ১৪৩২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

জুলাই হত্যা মামলার আসামির পক্ষে জেলা জামায়াত আমীরের প্রত্যয়নপত্র

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫২, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
জুলাই হত্যা মামলার আসামির পক্ষে জেলা জামায়াত আমীরের প্রত্যয়নপত্র সংবাদ সম্মেলন

মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক এমবি বাকেরের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে জামায়াতকর্মী হিসেবে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ‘মহম্মদপুরের জুলাই শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা আমিরকে পদ থেকে অপসারণ না করা হলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

এদিন সকাল ১১টায় জেলার মহম্মদপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে বক্তারা জানান, মো. শাহাবুদ্দিন মোল্লা, পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক পদধারী নেতা এবং জুলাই আন্দোলনে নিহত আহাদ-সুমনের হত্যা মামলার আসামি। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

লিখিত বক্তব্যে নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, শাহাবুদ্দিনের জামিনে সহযোগিতা করার জন্য ‘তিনি জামায়াতে ইসলামের কর্মী’ দাবি করে মাগুরা জেলা জামায়াতের আমির এমবি বাকের তাকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, এর আগেও কয়েকজনকে একই ধরনের মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বক্তারা এ ঘটনাকে শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে বেইমানি এবং প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে শহীদদের লাশ বিক্রির শামিল বলে আখ্যায়িত করেন।

তারা আরও বলেন, এটি জামায়াতে দলীয় সিদ্ধান্ত নয়, বরং ব্যক্তিস্বার্থে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার। অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ তুলে জেলা জামায়াত আমিরের অপসারণের দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শহীদ সুমনের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আন্দোলনে নিহত আমি এক সন্তানহারা মা। আমার সন্তানের হত্যার বিচার আজও পাইনি। অথচ জামায়াতের আমির হত্যাকারীদের মামলায় জামিনের জন্য প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। এটি আমার সন্তানের লাশের সঙ্গে বেইমানি। আমি জেলা আমিরের এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানোসহ তাকে পদ থেকে অপসারণের জোর দাবি জানাই।

অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক এমবি বাকের হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার কাছে অনেকেই প্রত্যয়ন নিতে আসে। কয়েকজন তাদের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে আমার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়েছেন। পরবর্তীতে জানা গেছে, তাদের মধ্যে আওয়ামী পরিবারের সদস্য, দলীয় পদধারী এবং আহাদ-সুমন হত্যা মামলার আসামিও ছিলেন। এটি আমার অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।