চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজারে ফার্মেসির আড়ালে চিকিৎসালয় খুলে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন মো. ইমরান হোসেন সোহাগ নামে এক ভুয়া চিকিৎসক। কোনো ধরনের বৈধ সার্টিফিকেট না থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজেকে সব রোগের চিকিৎসক দাবি করে এলাকায় মাইকিং করে রোগী ডাকছেন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের একটি মার্কেটের সামনের সাইনবোর্ডে লেখা ‘মা-মনি মেডিকেল হল’। ফার্মেসিটির পেছনের একটি ছোট কক্ষে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। কক্ষের দরজায় লেখা রয়েছে—‘ডা. মো. ইমরান হোসেন (সোহাগ)’। তবে কোথাও কোথাও স্টিকার দিয়ে ‘ডা.’ শব্দটি মুছে দেওয়া হয়েছে।
প্রতারণার প্রমাণ মিলেছে গোপনে রোগী সেজে ঢুকে। সেখানে সোহাগ কোনো নাম-পরিচয় ছাড়াই প্যাডে প্রেসক্রিপশন লিখতে শুরু করেন। তবে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি লেখা বন্ধ করে শুরু করেন আকুতি মিনতি। এসময় তিনি স্বীকার করেন, আমি মূলত পল্লী চিকিৎসক। ভুল করে ডাক্তার লিখেছি। এখন মুছে ফেলেছি। আর এমন করবো না।
কিন্তু কেন পল্লী চিকিৎসক হিসেবেও পরিচয় দেননি, এই প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারেননি।
জানা গেছে, সোহাগ তার নামের পাশে ‘ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্স’ (বি.এ, ডি.এম.এস) লিখে রোগীদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতেন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব রোগের চিকিৎসা দেন বলে এলাকায় প্রচার চালান। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েকদিন আগে সাংবাদিকরা বিষয়টি প্রকাশ করলেও কিছুদিন বন্ধ থাকার পর তিনি আবার একই কার্যক্রম শুরু করেছেন।
রামপুর বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, সে মাইকিং করে সব রোগের চিকিৎসা দেয়ার কথা বলছে। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হতে থাকবে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীনকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এমজে